সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
দিন যতই যাচ্ছে ততই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নারায়ণগঞ্জ শহর । বিএনপি যুবদল ছাত্রদল গর্জে উঠছে তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য। আজ দ্বিতীয় দিনে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর যুবদল। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার। এর আগে গতকাল জেলা যুবদল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তাতে পুলিশের বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে নারায়ণগঞ্জ শহরে শামীম ওসমানের দুর্বল নেতৃত্বের কারণে বিএনপি জামায়াত অধিক সক্রিয় হয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে শামীম ওসমান কোন্দল সৃষ্টি করে রেখেছেন। তাতে শহরে দুর্বল হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
যে দল যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে সে দল দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন কে সহযোগিতা করে থাকে। যাতে বিরোধী শক্তি কোন প্রকার নাশকতা করতে না পারে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহরে তার উল্টো চিত্র । বিরোধী শক্তির নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ কে সহযোগিতা করছে না স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার সমর্থকরা। বিএনপি ঘন ঘন বিক্ষোভ মিছিল বের করছে শুধু পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে। সেখানে বিএনপির নাশকতা ঠেকাতে ক্ষমতাসীনদের কোন অবস্থান দেখা যাচ্ছে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, নারায়ণগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগের দুর্বলতায় যে কোন সময় বিএনপি গণ বিষ্ফোরণ ঘটাতে পারে। আর তাতে সরকার বেকায়দায় পড়তে পারে।
তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বিএনপি জামায়াত মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তার সমর্থকরা পুলিশ কে সহযোগিতা করছেন।
সম্প্রতি শামীম ওসমানের সমর্থকরা মাদক সন্ত্রাসীদের বাচাঁতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। শামীম ওসমানের সমর্থকদের আল্টিমেটামে বিএনপি তাদের ফায়দা লুটতে এসি রুম ছেড়ে রাজপথে নেমেছে। তবে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ দক্ষতার সাথে শামীম ওসমানের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মোকাবেলা করছেন। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে রাজপথ থেকে সড়িয়ে দিচ্ছেন। জোরদার করেছেন বাড়তি নিরাপত্তা।